মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

চকচকে মজাদার কেক কেটে নয়, সুস্বাদু খাওয়া দাওয়ার কোন আয়োজন নয়, বাহারী রং বেরং এর কোন পোশাক নয়, বেলুন ও আলোকোজ্জ্বল বিজলী বাতি দিয়ে সাজানো জমকালো কোন অনুষ্ঠান নয়। আওয়ামী দুঃশাসন বিরোধী ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের চলমান আন্দোলনে আটক বিএনপি ও অংগ সংগঠনের নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পরিবারের সদস্যদের খোঁজ খবর নেওয়ার মাধ্যমে অন্যরকম জন্মদিন পালন করছেন, তৃণমূল চষে বেড়ানো জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ লুৎফুর রহমান কাজল।

কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু-ঈদগাহ) আসনে নির্বাচিত সাবেক সংসদ সদস্য, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির মৎস্যজীবী বিষয়ক সম্পাদক, মানবিক রাজনীতিবিদ লুৎফুর রহমান কাজল এর শনিবার ১৮ নভেম্বর ৫৭তম জন্মদিন।

কক্সবাজারের রাজনীতির মাটি ও মানুষের সাথে মিশে যাওয়া লুৎফুর রহমান কাজল বিশিষ্ট শিল্প উদ্যোক্তা, বিস্ময়কর মেধাসম্পন্ন ব্যাক্তিত্ব, শিল্পে নতুনত্ব সৃষ্টির অসাধারণ কারিগর, দেশের সফল ব্যবসায়ী, নিরিবিলি গ্রুপ অব কোম্পানিজের প্রতিষ্ঠাতা মরহুম আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান ও সাবেক সংসদ সদস্য সালেহা খানমের গর্বিত সন্তান।

লুৎফুর রহমান কাজল তাঁর ৫৭তম জন্মদিনে শনিবার দুপুরে তিনি কক্সবাজার শহর যুবদল নেতা জয়নাল আবেদীন এবং জামাল খানের পরিবারের সদস্যদের সাক্ষাৎ করে তাদের সান্তনা দেন ও আশ্বস্ত করেন। তাঁর প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস রাখতে বলেন, অবিচল পথচলায়। এভাবে কক্সবাজার-৩ আসনের বিভিন্ন জায়গা থেকে আটক নেতৃবৃন্দের স্বজনদের খোঁজ নিয়েছেন, শনিবার সারাদিন তিনি।

অসাধারণ মানবিক গুণাবলী, অদম্য ইচ্ছাশক্তি সম্পন্ন লুৎফুর রহমান কাজল ৪ভাই ১বোনের মধ্যে দ্বিতীয় এবং ভাইদের মধ্যে জ্যেষ্ঠ ভাই। বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের অধিকারী জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ও জাতীয়তাবাদী যুবদল থেকে গড়ে উঠা এই রাজনীতিবিদ কক্সবাজার জেলা ও কেন্দ্রীয় ছাত্রদল ও যুবদলের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন কৃতিত্বের সাথে। যাঁর বায়োডাটা “বিএনপি’র কাজল” হিসাবে সমাদৃত।

শৈশব থেকেই গণমানুষের অধিকার আদায় নিয়ে চিন্তা করতেন, লুৎফুর রহমান কাজল। ১৯৮০ সালে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের রাজনীতির মাধ্যমে তিনি ছাত্র রাজনীতিতে পদার্পন করেন। তিনি জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ১৯৮৩ সাল থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত কক্সবাজার জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়কের দায়িত্ব পালন, ১৯৮৬-৮৭ সালে জেলা ছাত্রদলের আহবায়কের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৭ সাল থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত লুৎফুর রহমান কাজল জেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক, ১৯৯১ সাল থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত জেলা যুবদলের সফল সাধারণ সম্পাদক, ১৯৯৭ সাল হতে ২০০৩ সাল পর্যন্ত জেলা যুবদলের সভাপতি ও একই সময়ে কেন্দ্রীয় যুবদলের নির্বাহী সদস্য, ২০০৩ সালে কক্সবাজার
জেলা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক, ২০০৪ সালে কেন্দ্রীয় যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, ২০০৮ সালে বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ২০১৬ সালে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির মৎস্যজীবী বিষয়ক সম্পাদক হিসাবে নির্বাচিত হয়ে অদ্যাবধি সেই দায়িত্ব পালন করছেন সফলতার সাথে। এছাড়াও তিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির আওতাধীন বিভিন্ন উপকমিটির দায়িত্ব পালন করছেন-সুচারুভাবে।

২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজার-৩ আসনে ২০ দলীয় জোটের মনোনয়ন পেয়ে একই আসনে দলের একজন বিদ্রোহী প্রার্থী নির্বাচন করা সত্বেও লুৎফুর রহমান কাজল বিপুল ভোটের ব্যবধানে মহাজোটের প্রার্থীকে হারিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৮ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও কক্সবাজার-৩ আসনে লুৎফুর রহমান কাজল ২০ দলীয় জোটের মনোনয়ন পান।

রাজনীতির পাশাপাশি একজন সফল উদ্যোক্তা লুৎফুর রহমান কাজল বিভিন্ন ব্যবসায়িক ও বাণিজ্যিক ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ও এসব সংগঠনে সক্রিয়ভাবে দায়িত্ব পালন করছেন। তারমধ্যে, ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত শ্রীম হ্যাচারী এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এর সভাপতির দায়িত্ব পালন করে সংগঠনটিকে সুপ্রতিষ্ঠিত করেন।

১৯৯৮ সাল থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ লবণ মিল মালিক সমিতির সভাপতি, ২০০৫ সাল থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত হোটেল মোটেল মালিক সমিতির সভাপতি, ২০০৬ সাল থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত লায়ন ক্লাব অব কক্সবাজারের প্রেসিডেন্ট, ইউনিভার্সিটি অব সাইন্স এন্ড টেকনোলজির সাবেক সিন্ডিকেট সদস্য, কক্সবাজার বিসিক শিল্প নগরী মিল মালিক সমিতির ২০০৭ সাল থেকে অধ্যাবদি সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন।

দৃঢ় আত্মপ্রত্যয়ী লুৎফুর রহমান কাজল ব্যবসায়িক প্রয়োজনে জাপান, ইংল্যান্ড, ভারত, আমেরিকা, মিয়ানমার, হল্যান্ড, চীন, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড সিঙ্গাপুর, হংকং, থাইওয়ান, নামিবিয়া সহ আরো অনেক দেশ সফর করেছেন।

অসাধারণ কর্মীবান্ধব, তৃনমূলের নেতা-কর্মীদের সাথে সব সময় মিশে থাকতে অভ্যস্থ লুৎফুর রহমান কাজল জীবনসঙ্গিনী হিসাবে বেচে নিয়েছেন কক্সবাজার-২ (মহেশখালী-কুতুবদিয়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইসহাকের কন্যা শিরিন রহমানকে। লুৎফুর রহমান কাজল ও শিরিন রহমান দম্পতি তাহসিন লুৎফুর ও সাঈফ রহমান নামক ২ পুত্র সন্তানের জনক ও জননী।

লুৎফুর রহমান কাজল তাঁর ৫৭তম জন্মদিনে কারাবন্দী বেগম খালেদা জিয়াকে কারামুক্ত করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে নিরপেক্ষ তত্ববধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন করার দাবিতে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে চলমান এক দফার আন্দোলনকে আরো বেগবান করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সহ কারাবন্দী সকল নেতা কর্মীর আশু মুক্তি দাবি করে তিনি বলেন, আন্দোলন, সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে নতুন নেতৃত্বের সৃষ্টি হয়। তফশিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন দেশকে সংঘাতে দিকে ঠেলে দিলেও গণতন্ত্রকামী মানুষ অবশ্যই বিজয়ী হবে।

লুৎফুর রহমান কাজল তাঁর জীবনের বাকী সবটুকু সময়, মেধা, শ্রম বিএনপি ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে উৎসর্গ করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে সিবিএন-কে বলেন, কক্সবাজার সদর-রামু-ঈদগাহ উপজেলার সর্বস্থরের মানুষের ভালাবাসার ঋন আমি কখনো শোধ করতে পারবোনা। তাদের ভাগ্যন্নোয়নে, সুখ দুঃখের সাথী হয়ে সারাজীবন তাঁদের হৃদয়ে তাদেরই একজন হয়ে থাকতে চাই। এজন্য তিনি মহান আল্লাহতায়লার কাছে শোকরিয়া জ্ঞাপন করে সদর-রামু-ঈদগাহ’র মানুষের জন্য অবিরাম কাজ করে যেতে সকলের দোয়া ও আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেছেন। তিনি গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলন আরো বেগবান করে আন্দোলনকে চুড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যেতে সকল পর্যায়ের নেতা কর্মীদের প্রতি আহবান জানান।

প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রিয় নেতা লুৎফুর রহমান কাজল অন্যরকমভাবে ৫৭তম জন্মদিন পালন নিয়ে তাঁর একান্ত সহকারী মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসাইন তাঁর ফেসবুক আইডি-তে কয়েকটি ছবি দিয়ে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন।

নিন্মে স্ট্যাটাসটি তুলে ধরা হলো :
“১৮ নভেম্বর শনিবার ২০২৩ ইং
জননেতা আলহাজ্ব লুৎফুর রহমান কাজলের অন্যরকম জন্মদিন উদযাপন।

আজ সকাল থেকেই তিনি আওয়ামী দুঃশাসন বিরোধী ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে আটক বিএনপি নেতাকর্মীদের খোঁজ খবর নিচ্ছেন এবং তাদের পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ করে তাদেরকে আশ্বস্ত করেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় আজ দুপুরে তিনি শহর যুবদল নেতা জয়নাল আবেদীন এবং জামাল খানের পরিবারের সদস্যদের সাক্ষাতের মূহুর্তে।”

স্ট্যাটাসটি লাইক, কমেন্ট ও শেয়ারে ভরে গেছে।